ওডেস্ক
ওডেস্কে আমি যেভাবে কাজ পাই – ১ম পর্ব
[*** বি.দ্র: তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল এবং সবর্দা আপডেট হয়ে থাকে। ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রেও তাই, আমরা এখন যা দেখছি তা কয়েকবছর পর হয়ত নাও থাকতে পারে, এখন ওডেস্কের যে ইন্টারফেসে কাজ করছি তা কিছুদিন পর হয়ত তা পরিবর্তন হয়ে যাবে, কিন্ত বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই পরিবর্তনের সময় মেীলিক বিষয়গুরো টিক থাকে। যেমন পূর্বে অনেক মার্কেটপ্লেস ছিল যেমন রেন্ট-এ-কোডার , ভি-ওয়ার্কার নামে যা বর্তমানে নেই এই মার্কেপ্লেসগুলো Freelancer.com এর সাথে একত্রিত হয়েছে। এই টিউটরিয়ালটি লেখা হয়েছিল ২০১১ সালে তখন ওডেস্ক নামে মার্কেটপ্লেস ছিলো, ২০০৩ সালে চালু হওয়া ওডেস্ক মার্কেটপ্লেসটি ২০১৫ সালে অন্য আরেকটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস ইল্যান্সের সাথে একত্রিত হয়ে এটি আপওয়ার্ক নামে পরিচালিত হয়। তাই বর্তমানে ওডেস্ক নামে কোন মার্কেটপ্লেস খুজে পাওয়া যাবে না এবং এই টিউটরিয়ালটিও কার্যকর হবে না। আপওয়ার্কের আপডেটেয এই টিউটরিয়ালটি খুজে পেতে নিচের লিকংগুলো ভিজিট করুন ]
আমি মো: নাজমুল হক মূলত একজন ফ্রিল্যান্স ওয়েব ডেভেলপার এবং সার্ভার এডমিনিস্ট্রেটর । বর্তমানে সিলহোস্ট এ কাজ করছি। এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করার পাশাপাশি ওডেস্কে ফ্রিল্যান্সিং করছি। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার ফ্রিল্যান্সিং কাজ পাওয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। আমি ধারাবাহিকভাবে কিছু কাজ পাওয়ার পন্থা বর্ণনা করছি। যারা ওডেস্কে ওয়েব ডেভলাপমেন্টের কাজ পেতে চান তারা এই নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করে দেখতে পারেন।
আমি ধরে নিচ্ছি আপনার একটি ওডেস্ক একাউন্ট আছে । প্রথমে আপনার ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে ওডেস্কে লগইন করুন। লগইন করার পর এরকম একটি হোমপেজ আসবে:
এখন আপনার প্রথম কাজ হচ্ছে আপনার একাউন্টকে ১০০% কমপ্লিট করা । আমার পরামর্শ হচ্ছে প্রথমে আপনার প্রোফাইলকে ১০০% করুন তারপর আপনি যে ধরনের ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কাজ করতে চান সে কাজগুলো ভালকরে বুঝে বিড করুন । আমি প্রথমেই দেখাচ্ছি কিভাবে আপনার প্রোফাইলকে ১০০% কমপ্লিট করবেন । তারপর আপনাদের কিছু বুলেট টিপস দিব যেগুলো অনুসরণ করলে ইনশাল্লাহ অপনারা ওডেস্কে কাজ পেয়ে যাবেন।
ওডেস্ক প্রোফাইল ১০০% কমপ্লিট করার উপায়:
আমার পরামর্শ হছে প্রথমে আপনার প্রোফাইলকে ১০০% কমপ্লিট করুন। প্রোফাইল ১০০% কমপ্লিট হলে নিচের ছবির মত তথ্য দেখতে পাবেন –
ওডেস্ক একাউন্ট খুলার পরেই প্রোফাইলকে ১০০% কমপ্লিট করাটা জরুরী । যদিও আমি দেখেছি যে অনেক expert developer রা প্রোফাইলকে ১০০% কমপ্লিট না করে কোন ওডেস্ক টেস্ট না দিয়েই কাজ পেয়ে যান। তাদের কথা আলাদা, যারা মোটামুটি কাজ পারেন তাদের জন্যই এই ব্যবস্থা ।
তো আসুন প্রোফাইলকে ১০০% করার প্রক্রিয়ায়। অমি ক্রমানুসারে বিষয়টি দেখাচ্ছি:
১) লগিন করার পর হেমপেজ এর ডান দিকে ইউজারনেম এর Account & Profile settings এ ক্লিক করুন
২) এবার আপনার Security Question এর উওর দিন
৩) এখন Profile & Settings Option আসবে –
৪) চিত্রে দেখুন বামদিকে Profile & Settings মেনু রয়েছে এবং User Info show হচ্ছে । এখান থেকে User Info, My Contractor Profile, My Test মেনুর অপশনগুলো ভালভাবে ফিলআপ করলেই হবে। তাহলেই আপনার প্রোফাইল কমপ্লিটনেস ০% থেকে বাড়তে থাকবে।
৫) Fill up User Info: ইউজার ইনফোতে দুটি সেকশন রয়েছে, একটি হচ্ছে Your Account info আন্যটি Your Location Info
৬) Your Account info পরিচিতি: এখানে প্রথমে রয়েছে User ID, First Name, Last Name এটি আপনি যখন প্রথম একাউন্ট খুলেছিলেন তখনকার ইনফরমেশন।
৭) তারপর রয়েছে Verification Status, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ, এটিও কাজ পেতে সাহায্য করে। এটি ভেরিফাই করতে verify your identity লিংকটিতে ক্লিক করুন। এখানে তিনটি স্টেপ রয়েছে, প্রথমে আপনার একটি ক্লিয়ার ফটো দিতে হবে, দ্বিতীয় স্টেপে আপনার পাসপোর্ট বা ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটো এবং তৃতীয় স্টেপে আপনার ব্যংক স্টেটমেন্ট দিতে হবে । তখন ওডেস্ক আপনাকে কিছুদিনের মধ্যে আইডি ভেরিফাই করে দিবে।
৮) তারপর রয়েছে Odesk Email, Personal Email এবং Security Email
৯) তারপর রয়েছে Portrait এখানে আপনি আপনার ফটো দিবেন। ফটো দেোয়ার সাথে সাথেই আপনার প্রোফাইল কমপ্লিটনেস ১০% বাড়বে।
১০) Your Location Info পরিচিতি: এখানে আপনি অপনার Timezone, Address, City, Country, Postal Code / Zip, Phone নাম্বার ইত্যাদি দিবেন।
আজ এপর্যন্তই, আমরা আগামী পর্বে এই পরবর্তী দুটি মেনুর Details আলোচনা করে ১০০% প্রোফাইল কমপ্লিটনেসের দিকে এগিয়ে যাব এবং তারপর স্পেশাল কিছু টিপস দেয়া যাবে।
ওডেস্কে আমি যেভাবে কাজ পাই – ২য় পর্ব
[*** বি.দ্র: তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল এবং সবর্দা আপডেট হয়ে থাকে। ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রেও তাই, আমরা এখন যা দেখছি তা কয়েকবছর পর হয়ত নাও থাকতে পারে, এখন ওডেস্কের যে ইন্টারফেসে কাজ করছি তা কিছুদিন পর হয়ত তা পরিবর্তন হয়ে যাবে, কিন্ত বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই পরিবর্তনের সময় মেীলিক বিষয়গুরো টিক থাকে। যেমন পূর্বে অনেক মার্কেটপ্লেস ছিল যেমন রেন্ট-এ-কোডার , ভি-ওয়ার্কার নামে যা বর্তমানে নেই এই মার্কেপ্লেসগুলো Freelancer.com এর সাথে একত্রিত হয়েছে। এই টিউটরিয়ালটি লেখা হয়েছিল ২০১১ সালে তখন ওডেস্ক নামে মার্কেটপ্লেস ছিলো, ২০০৩ সালে চালু হওয়া ওডেস্ক মার্কেটপ্লেসটি ২০১৫ সালে অন্য আরেকটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস ইল্যান্সের সাথে একত্রিত হয়ে এটি আপওয়ার্ক নামে পরিচালিত হয়। তাই বর্তমানে ওডেস্ক নামে কোন মার্কেটপ্লেস খুজে পাওয়া যাবে না এবং এই টিউটরিয়ালটিও কার্যকর হবে না। আপওয়ার্কের আপডেটেয এই টিউটরিয়ালটি খুজে পেতে নিচের লিকংগুলো ভিজিট করুন ]
টিউটরিয়ালের দ্বিতীয় পর্বে অপনাদের স্বাগতম জানাচ্ছি । গত পর্বে আমরা ওডেস্কে কাজ পাওয়ার জন্য প্রোফাইল কমপ্লিটনেসের কিছু বিষয় আলোচনা করেছিলাম। আজ বাকিটুকু দেখাচ্ছি
Fill up My Contractor Profile:
মাই কন্ট্রাক্টর প্রোফাইলে নয়টি সেকশন রয়েছে, এগুলো হচ্ছে My Account Summary, My Public Profile, Categories, Skills, Emplacement History, Education, Portfolio Project, Certifications, Other Experiences
মাই কন্ট্রাক্টর প্রোফাইল শক্তিশালী হলে কাজ পেতে সুবিধা হয়। প্রথমদিকে বায়াররা কন্ট্রাক্টর প্রোফাইল এবং বিড এমাউন্ট দেখেই কাজ দিয়ে থাকে।
১) My Account Summary পরিচিতি :
১.১) Title: টাইটেল হিসেবে আপনি ওয়েব ডেভলাপমেন্টের যে বিষয়গুলো পারেন সেগুলো দিতে পারেন অথবা নিচের মতো একটি ট্যাগলাইন দিতে পারেন।
Title: PSD to XHTML, CSS, JAVASCRIPT, JQUIRY, PHP, MYSQL, JOOMLA, WORDPRESS, MAGENTO.
অথবা,
Title: Creative & professional solution for web development
১.২) Portrait: এখানে আপনার একটি সুন্দর ছবি দিন।
১.৩) Personal E-mail: আপনার ইমেইল এ্যাড্রেস দিন।
১.৪) Hourly Pay rate: আপনার ঘন্টা হিসেবে কাজের মূল্য লিখুন। নতুনরা $3 থেকে $5 দিলে ভাল হয়, পরবর্তীতে আপনি অনেকগুলো কাজ কমপ্লিট করার পর Hourly Rate বাড়িয়ে দিতে পারেন।
১.৫) oDesk Ready: ওডেস্কে কাজ করতে হলে একটি রেডিনেস টেস্ট দিতে হয়। এখানে একটি রেডিনেস টেস্ট লিংক আছে, টেস্টটি দিয়ে দিন। টেস্ট শুরু করার পূর্বে টেস্টের সাইটের নিয়মকানুনগুলো ভাল করে পড়ে নিন। তাহলে ভবিষ্যতে কাজের ক্ষেত্রে খুব উপকারে আসবে। আর পড়ার সময় না থাকলে ওডেস্কে রেডিনেস টেস্টের প্রশ্নের উওর পাবেন এই লিংকে। তবে পরে সাইটের নিয়মকানুনগুলো সময় নিয়ে অবশ্যই জেনে নিন।
১.৬) Profile Completeness: আপনার বতর্মান প্রোফাইল কমপ্লিটনেস কত % আছে তা এখানে দেখাবে। এবং প্রোফাইল কমপ্লিটনেসের পাশে একটি লিংক থাকে যা ফলো করলে পর্যায়ক্রমে আপনার প্রোফাইল কমপ্লিটনেস বাড়বে।
১.৭) Job Application Quota: এখানে আপনি প্রতি সপ্তাহে কয়টি কাজে এপ্লিকেশন করতে পারবেন তা দেখাবে। প্রোফাইল কমপ্লিটনেস বাড়ার সাথে সাথে জব এপ্লিকেশন কোটা বাড়তে থাকে।
২) My Public Profile পরিচিতি :
২.১) Profile Access: আপনি আপনার প্রফাইল পাবলিক না প্রাইভেট রাখতে চান এখানে তা নির্ধারণ করে দিতে পারেন। প্রোফাইল একসেস পাবলিক রাখলে সবাই আপনার প্রফাইল দেখতে পাবে আর প্রাইভেট রাখলে শুধু বায়ার আপনার প্রোফাইল দেখতে পাবে। আমার পরামর্শ হচ্ছে প্রোফাইল পাবলিক রাখুন, এতে সার্চ ইঞ্জিন এটি খুজে পাবে।
২.২) Display Name: আপনার নামের কোন অংশটুকু দেখাবে এখানে তা বলে দেওয়া যায়।
২.৩) Primary Role: আপনার কাজের ধরন অনুযায়ী এখানে আপনার Primary role define করতে পারেন। যেমন programmer/developer, Data Entry Professional, Technical writer ইত্যাদি উল্লেখ করে দিতে পারেন।
২.৪) Title: এটি পূর্বেই আলোচনা করা হয়েছে ১.১ এ দেখুন।
২.৫) Weekly Availability: আপনি সপ্তায় কত ঘন্টা কাজ করতে পারবেন এটি উল্লেখ করে দিতে পারেন। যেমন- আপনি যদি দিনে গড়ে ৩ ঘন্টা ওডেস্কে কাজের জন্য ফ্রি থাকেন তাহলে ৩ x ৭ = ২১ ঘন্টা দিয়ে দিতে পারেন।
২.৬) Years of Experience: সংশ্লিষ্ট কাজে আপনার কত বছরের অভিজ্ঞতা আছে তা এখানে উল্লেখ করুন। অভিজ্ঞতা ৩ মাসের থাকলেও কমপক্ষে দুই বছরের উল্লেখ করুন।
২.৭) English: এখানে আপনার English Proficiency Level উল্লেখ করুন। আপনি যদি মোটামুটি ইংরেজী বুঝতে এবং লেখতে পারেন তাহলেও এখানে ৫ দিয়ে দিন।
২.৮) Objective: এখানে আপনার ফ্র্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের উদ্দেশ্যসমূহ লিখতে পারেন।
৩) Categories পরিচিতি :
এখানে আপনার ফ্র্রিল্যান্সিং কাজের ধরন নির্ধারন করে দিন। আপনি ফ্রিল্যান্সিং এ যেধরনের কাজ করতে চান এখানে তার ক্যাটাগরি এবং সাব-ক্যাটাগরি নির্ধারন করে দিন।
৪) Skills পরিচিতি :
আপনার নির্দিষ্ট বিষয়ে কি কি দক্ষতা আছে তা নির্ধারণ করে দিন। এখানে আপনার তৈরি করা কোন প্রজেক্ট উল্লেখ করে দিতে পারেন।
৫) Employment History পরিচিতি :
আপনি যদি কোন প্রতিষ্ঠানে পূর্বে কাজ করে থাকেন তাহলে এখানে তার বর্ণনা দিতে পারেন।
৬) Education পরিচিতি :
এখানে আপনার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার তথ্য দিন।
৭) Portfolio Projects পরিচিতি :
ওডেস্কে কাজ পেতে হলে এই অংশটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। Portfolio হচ্ছে অপনার পূর্বের করা কাজগুলো। নতুন যারা ওয়েব ডেভলাপমেন্টের কাজ করতে চান এবং যাদের পূর্বের কোন কাজ নেই তারা ডেমো প্রজেক্ট বানিয়ে সার্ভারে রেখে দিন। এটি এখানে যোগ করুন আর বিড করার কভার লেটারে লিংক দিয়ে দিন। যেমন- আপনি যদি একজন ওয়েব ডিজাইনার হোন তাহলে একটি সুন্দর ওয়েবসাইট তৈরি করুন এবং এটি সার্ভারে রেখে দিন http://www.yourdomain.com/yourproject আর আপনি যদি একজন ওয়েব প্রোগ্রামার হন তাহলে একটি ভাল ওয়েব এপ্লিকেশন তৈরি করুন এবং এটি সার্ভারে রেখে দিন। আপনার যদি নিজের কোন ওয়েবসাইট থাকে তাহলে প্রজেক্টগুলো আপনার ওয়েবসাইটের সাবডোমেইন এ রেখে দিতে পারেন অথবা আপনার পরিচিতজনের ওয়েবসাইট থাকলে সেটির সাবডোমেইন এ আপনার প্রজেক্টগুলো রেখে দিতে পারেন।
৮) Certifications পরিচিতি :
আপনার কোন প্রফেশনাল সাটিফিকেট থাকলে এটি এখানে উল্লেখ করতে পারেন ।এটিও কাজ পেতে সাহায্য করে।
Brainbench Certifications নিতে পরেন আপনে এখান থেকে।
৯) Others Experiences পরিচিতি:
আপনার অন্যান্য সব অভিজ্ঞতা আপনি এখানে বর্ণনা করতে পারেন। যেমন আপনি যদি ওয়েব প্রোগ্রামিং, গ্রাফিক্স খুব ভাল পারেন তাহলে এটি এখানে উল্লেখ করুন।
আজ এপর্যন্তই, আমরা আগামী পর্বে My Tests এবং Cover Letter নিয়ে আলোচনা করব।
ওডেস্কে আমি যেভাবে কাজ পাই – শেষ পর্ব
১) আপওয়ার্কে ফ্রিল্যান্সিং করবেন কিভাবে? – ১ম পর্ব
My Test পরিচিতি:
এখানে আপনি অপনার কাজের ধরন অনুসারে বিভিন্ন টেস্ট দিতে পারেন। টেস্টগুলোতে পাশ করলে আপনাকে ক্লায়েন্ট নির্দিষ্ট কাজের ব্যাপারে আরও গুরুত্ব দিবে। প্রাথমিকভাবে একজন ক্লায়েন্ট আপনার প্রোফাইলের Portfolio, Test এবং Resume এর উপর ভিওি করে কাজ দিয়ে থাকে।
আপনি যদি ওয়েব ডেভলাপার হন তাহলে ওয়েব ডেভলাপমেন্টের যে ল্যঙ্গুয়েজ এবং ফ্রেমওয়ার্কগুলো নিয়ে আপনি কাজ করেন সেগুলোর উপর পরীক্ষা দিতে পারেন। ওডেস্কে প্রায় ৩৪৪টি বিষয়ের উপর পরীক্ষা দেওয়া যায়।
ধরুন আপনি একজন ওয়েব ডিজাইনার, আপনি psd to xhtml, css editing এর কাজ করেন । তাহলে আপনি ওডেস্কে HTML 4.01 Test, CSS 2.0 Test, XHTML 1.0 Test, CSS 3 Test, Adobe Photoshop Test গুলো দিতে পারেন । টেস্টগুলোতে ভাল মার্কস পেলে ক্লায়েন্ট আপনাকে এই ধরনের কাজে বিশ্বাস করবে।
আপনি যদি ওয়েব প্রোগ্রামার হন তাহলে আপনি PHP Test, Advanced PHP Test, MySQL Test, Joomla Test, WordPress Test দিতে পারেন। অনেক সময় ক্লায়েন্ট তার প্রজেক্টের বিবরণে বলে দেয় যে নির্দিষ্ট টেষ্টে আপনাকে পাশ করতে হবে।
সাধারনত সব পেশার লোকজন যে টেস্টগুলো দিতে পারেন সেগুলো হচ্ছে
১) oDesk readiness test এই টেস্টে পাশ করার মানে হচ্ছে আপনি ওডেস্কের নিয়মকানুনগুলো জানেন।
২) U.S. English Basic Skills Test
৩) English Spelling Test (U.S. Version) এই দুটি টেস্টে পাশ করলে ক্লায়েন্ট বুঝবে আপনি ইংরেজীতে দক্ষ।
যেভাবে টেস্ট দিবেন:
অপনার প্রোফাইলের হোমপেজ থেকে Find Contractors & Jobs >Test এ ক্লিক করুন। এখন উপরের ছবির মতো পেজ আসবে যেখানে সবগুলো টেস্টের নাম আছে।
এখন আপনি যে বিষয়ের টেস্ট দিতে চান সেটির উপর ক্লিক করুন। তখন টেস্টের সিলেবাস এবং নিয়মকানুন আসবে, এগুলো দেখে পরীক্ষা দিয়ে দিন। আর পরীক্ষা দেওয়ার পূর্বে ভাল করে প্রস্তুতি নিতে ভুলবেন না।
এখন আপনি যে বিষয়ের টেস্ট দিতে চান সেটির উপর ক্লিক করুন। তখন টেস্টের সিলেবাস এবং নিয়মকানুন আসবে, এগুলো দেখে পরীক্ষা দিয়ে দিন। আর পরীক্ষা দেওয়ার পূর্বে ভাল প্রস্তুতি নিতে ভুলবেন না।
কিভাবে ওডেস্ক-এর জবে বিড বা অ্যাপ্লাই করবেন :
পদ্ধতিটি এই লিংক থেকে দেখে নিন: http://bn.jinnatulhasan.com/2011/06/5533/
কিভাবে কভার লেটার লিখবেন:
কভার লেটার হচ্ছে ওডেস্কের কাজের আবেদনপত্র । অনেকেই কভার লেটার লিখার নির্দিষ্ঠ নিয়মের কথা বলেন, তবে আমার কাছে মনে হয় আপনি যে কাজের জন্য আবেদন করছেন কভার লেটারের মাধ্যমেই আপনাকে বুঝাতে হতে যে কাজটায় আপনি দক্ষ। যেমন আমি প্রথম চারটি জব পাই নিচের সাধারণ কভার লেটারটি দিয়ে –
Dear Sir,
I have 2 years experience in web development.
Please see my latest project:
http://www.domain1.com/
http://www.domain2.subdomain.com/
http://www.domain3.com/theme/spark
http://www.domain4.com/
And accept me
Thanks
Myname
ভাল হয় যতি আরেকটু সুন্দরভাবে নিচের মত করে কভার লেটার লিখতে পারলে,
Hi,
I have gone through your job posting, and I’m very much interested to
work with you. I have completed several web development projects.
And I think I can support you on this with my best effort. You can visit
my latest web projects.
http://www.domain1.com/
http://www.domain2.com/
http://www.domain3.com/
Looking forward to hearing from you
With Thanks
Myname
কভার লেটারে কি কি বিষয় থাকতে হয় তা নিচের লেটারে দেখানো হল
- Introduction (includes salutation/greetings, name “I am Monir”, title “a freelance web designer”, country “from the Bangladesh” and brief work history “I’ve been working as a web designer for so and so years, creating and designing websites for various so and so companies…”). If the client was the one who invited me to apply for the position, I always begin my cover letter by thanking him/her for considering me for an interview.
- A brief summary of the job description. This is important because it shows that you have actually read and understood the job description.
- Skills. Describe your related skills.
- Availability, schedule and other work-related details. Most of the questions/items raised in the job posting or in the message sent by clients are about skills and competencies, availability and rate, so make sure you cover them in 3 and 4.
- End note (“Thank you”, “Looking forward to hear from you again”, etc) and signature.
You don’t have to follow this guide exactly, but at least you’ll have an idea of the structure and you can be creative with your own cover letter.
কভার লেটার সম্পর্কে আরও জানতে আপনি এই পোস্টটি দেখে নিতে পারেন।
নতুনদের কাজ পাওয়ার কিছু স্পেশাল টিপস:
১) প্রথমদিকে খুবই কম বজেটে বিড করুন এবং টাকার দিকে গুরুত্ব না দিয়ে রেটিং এবং ফিডব্যাকের প্রতি গুরুত্ব দিন।
২) যে প্রজেক্টে বিড করবেন তা ভালকরে বুঝে নিন । কোন একটি রিক্যেয়ারমেন্ট না পারলে কাজ না নেওয়াই ভাল।
৩) যে প্রজেক্টে বিড করবেন সে প্রজেক্টের ক্লায়েন্ট সম্পর্কে অন্য কন্টাক্টররা কি ফিডব্যক দিয়েছে এবং তার পেমেন্ট পদ্ধতি ভেরিফাইড আছে কিনা দেখে নিন।
৪) আপনার কাজের ব্যাপারে ১০০% সৎ থাকুন।
৫) সাধারনত এই এশিয়ান সাবকন্টিনেন্টের (ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া) ক্লায়েন্টদের প্রজেক্টে বুঝেশুনে বিড করুন, তারা অনেক সময়ই কথা দিয়ে কথা রাখে না। আপনি নিশ্চিন্তে আমেরিকান, কানাডিয়ান, ইউরোপিয়ান, অষ্টেলিয়ান ক্লায়েন্টদের প্রজেক্টে বিড করতে পারেন।
৬) নতুন কাজে বেশি বিড করুন। একটা নতুন জব পোস্ট হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে বিড করতে পারলে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বেশিরভাগ সময় ক্লায়েন্ট প্রথম কয়েকজনের মধ্যেই কাউকে ইন্টারভিউতে ডাকে।
৭) সুন্দর, সাধারণ এবং সংক্ষিপ্ত কভার লেটার লিখুন। ক্লায়েন্টের চাহিদাগুলো ভালোভাবে পড়ুন এবং রিক্রয়ারমেন্ট অনুসারে কভার লেটার লিখতে চেষ্টা করুন। কেন আপনি এই কাজের উপযোগী, কেন আপনাকে ক্লায়েন্ট নিয়োগ করবে সে কথা পরিষ্কার করে লিখুন। আগের যদি কোন অভিজ্ঞতা বা কাজের নমুনা থাকে তাহলে তার লিংক দিন কভার লেটারে। ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যম ব্যাবহার করবেন না।
৮) নতুনরা ৫০ ডলারের কাজের জন্য ১০ ডলারের মধ্যে বিড করুন । কেন কম বিড করেছেন সেটা কাজদাতাকে কভার লেটারে লিখুন। বলুন- আপনি ওডেস্কে নতুন। আপনি অনেক কাজ জানেন এবং অভিজ্ঞ। কিন্তু যেহেতু নতুন তাই এই মুহূর্তে আপনার টাকার চেয়ে ভালো কিছু ফিডব্যাক দরকার। তাই কম টাকা বিড করেছেন। দেখবেন সহজেই ইন্টারভিউতে ডাক পাবেন, যার অর্থ হচ্ছে ক্লায়েন্ট আপনার কাছে আরও কিছু জানতে চাচ্ছে। যা জানতে চাচ্ছে তা পরিষ্কার জবাব দিন। বাড়তি কথা বলবেন না। নিজের কাছে নিজে সৎ থাকবেন। এবং বলবেন- আপনি পরিশ্রমী, অভিজ্ঞ এবং সৎ।
৯) বাংলাদেশ সময় ভোর ৩টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত সময়ে বিড করুন। এই সময়ে ওডেস্কে সবচেয়ে বেশি জব পোস্ট হয় এবং বিডকারীর সংখ্যা তুলনামূলক কম থাকে। এই সময়ে বিড করলে ইন্টারভিউতে দ্রুত ডাক পাওয়া যায়।
১০) প্রতিদিন বুঝে কমপক্ষে দুটি জবে বিড করুন। নতুনদের অনেক বেশী বিড করতে হবে, যত বেশী জবে বিড করবেন কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশী থাকবে। বিষয়টি এমন নয় যে আপনি নতুন, আপনাকে ২০-২৫টি জবে বিড করেই জব পেয়ে যাবেন। আপনি নতুন হিসেবে ধরে নিতে পারেন কমপক্ষে ২০০টি জব বুঝে বিড করার পর প্রথম কাজটি পাবেন তবে প্রথম কয়েকটি বিড করেয় কাজটি পেয়ে যেতে পারেন।
মূল কথা হচ্ছে, ওডেস্ক বা অন্য যেকোন মার্কেটপ্লেসে যদি সফলতার সাথে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে যেকোন একটি বিয়য়ে ভালভাবে দক্ষ হোন। সেটি হতে পারে সফ্টওয়্যার ডেভলাপমেন্ট, ওয়েব ডেভলাপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, আর্টিকেল রাইটিং, সার্স ইন্জিন অপটিমাইজেশন, ডাটা এন্ট্রি বা সশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং । তারপর আপনার পছন্দের মার্কেটপ্লেসে একটি একাউন্ট খুলুন এবং আপনার প্রোফাইল শক্তিশালী করুন, তারপর নির্দিষ্ট বিয়য়ের জবগুলোতে ভালভাবে বুঝে বিড করুন এবং কভার লেটারের মাধ্যমে ক্লায়েন্টকে বুঝান যে কাজটায় আপনি দক্ষ। তাহলে সাফল্য পেতে খুব বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না।
No comments